Only For WholeSale

 আদিকাল থেকেই সরিষার তেলের উপকারিতা ও ব্যবহার এ দেশ সুপরিচিত,
 রান্নার জন্য,ত্বক ও স্বাস্থ্য উভয়ের জন্য সরিষার তেলের কোন জুড়ি নেই।
 সরিষার তেলে আছে প্রোটিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ওমেগা, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পরিমাণমতো ভিটামিন এ।
 সরিষার তেলের রান্না অনেক স্বাস্থ্যসম্মত।সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
 আপনার ত্বকের জন্য বেসন, দই, সরিষার তেল ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানান,পেস্টটি প্রায় ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার এভাবে ব্যবহার করলেই আপনার ত্বকে ভিন্নতা ও উজ্জ্বলতা লক্ষ্য করতে পারবেন।
 চুলের সুস্বাস্থ্য বজায়ে সরিষার তেলের ভূমিকাও কম নয়।সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে যা চুলের বৃদ্ধিতে ব্যাপক সহায়তা করে।
 হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা খাবারে পরিমাণ মত সরিষার তেল ব্যবহার করে খেতে পারেন। এতে হার্ট ভাল থাকবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।
 যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিনের রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করা উচিত। এই তেল হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আর দ্রুত খাবার হজম হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
 সরিষা তেলের ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্যোর কারণে তা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।
 সরিষা তেল জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
 সরিষার তেল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদানসমৃদ্ধ। ত্বকের ওপর এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন দূর হয়। এরা ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি রোধ করে।
 সরিষার তেল আয়ুর্বেদশাস্ত্রে একে কফ ও কাশি প্রতিরোধক হিসেবে বলা হয়েছে।
 সরিষার তেলের ব্যবহারে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে। গবেষকেরা অলিভ অয়েল, ক্যানোলা ও সূর্যমুখী তেলের মধ্যে তুলনা করেছিলেন। প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজি সাময়িকীতে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয় গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ।
 শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে সরিষার তেল লিপ বাম বা চ্যাপ স্টিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
 ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে সরিষার তেল। যাদের ক্ষুধার সমস্যা আছে তারা রান্নার সময় সরিষায় তেল ব্যবহার করতে পারেন।
 সরিষার তেল খুব ঘন হয় এবং এতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই থাকে সেহেতু এই তেল ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে ত্বককে সুরক্ষা করে। তাই সানস্ক্রিন লোশনের মতোই ব্যবহার করতে পারেন এই সরিষার তেল।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরিষার তেল কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারে। ভেজাল সরিষার তেল ব্যবহার করলে নানারকম অসুখ বিসুখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন খাঁটি সরিষাল কেনার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে।